জার্মানিতে ভারতীয় স্ন্যাক্স আনাচ্ছেন নারী উদ্যোক্তা
২৮ মার্চ ২০২৪শ্বেতা পাহুজা-মার্কুল জাস্ট নশ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা৷ তিনি জার্মানিতে ভারতীয় প্রভাবযুক্ত স্ন্যাক্স নিয়ে আসেন৷ স্ন্যাক্স তাঁর খুব পছন্দের খাদ্য৷ সেই ভালোবাসাই তাঁকে ইউরোপের বাজারে পুষ্টিকর স্ন্যাক্স আনতে প্রেরণা জুগিয়েছে৷
অনেক বছর আগে ভারতে থাকার সময় তাঁর পেটে একটা সমস্যা হয়েছিল৷ সেটাই এই কোম্পানি খোলার পেছনে প্রধান কারণ৷ নির্দিষ্ট পণ্যের সন্ধানে অ্যালার্জিন-মুক্ত গুণাগুণ যে কোনো মানুষ উপভোগ করতে পারবে বলে শ্বেতা মনে করেন৷
ভারতে ফুল মাকানা অত্যন্ত জনপ্রিয় নাস্তা৷ এটিকে মাখানা, ফক্স নাট বা ওয়াটার লিলি পপস বলা হয়৷ ১৫ বছর আগে সব সংসারেই সেটা দেখা যেত৷ কারণ মা বা দাদি-নানি খুব সহজেই কড়াইয়ে সেটি প্রস্তুত করে খেতে দিতেন৷ কিন্তু এখন মানুষ আরো বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে ওঠায় যে কোনো সুপাপমার্কেটেই সেটা পাওয়া যায়৷
চাষিরা বছরে একবার ফসল তোলেন৷ পুকুরের নীচ থেকে সেই বীজ তোলা হয়৷ সেগুলি তারপর এক কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে বীজগুলি রোস্ট করে আমাদের রেসিপি অনুযায়ী মশলা মেশানো হয়৷ সেই সিজনিংয়ের পর সেগুলি এই প্যাকেটবন্দি করে বাক্সে করে জার্মানিতে পাঠানো হয়৷
চাষিসহ প্রায় একশো মানুষ সেই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়৷ যথেষ্ট পানির অভাবে এ বারের মরসুম ভালো হয় নি৷ কখনো ভালো ফসল পাওয়া যায় না৷ ২০২৩ সালে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ফসল ধাক্কা খেয়েছে৷ ফলে বাজারে এই পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে৷
শ্বেতা আসলে ভারতের মুম্বইয়ের মানুষ৷ ২০১৬ সালে তিনি জার্মানিতে আসেন৷ উচ্চশিক্ষার সময়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল৷ তারপর প্রেমে পড়ে তিনি জার্মানিতে চলে আসেন৷ উদ্যোগপতি পরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি নিজের বাবাকেও ব্যবসা করতে দেখেছেন৷ শ্বেতা চিরকাল নিজের কোম্পানি খুলতে চেয়েছিলেন৷
২০২০ সালে কোম্পানি খোলার সময় কোভিড তুঙ্গে ছিল৷ তাঁর বাবা-মা ফ্লেভার চেখে দেখার পর প্রথম দফার পণ্য সরাসরি জার্মানিতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ কারণ তখন শুধু সেটাই সম্ভব ছিল৷ এই কোম্পানি ভারতেও জনকল্যাণের কাজ করি৷ ভারতে সেই পণ্য উৎপাদন করা হয়৷ তিনি এভাবে দেশের জন্যও কিছু করার চেষ্টা করেন৷
ফেলিক্স পাউশিঙার/এসবি